মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
দোয়ারা বাজার উপজেলার মাদ্রাসা শিক্ষকের গাফিলতিতে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ১৩ দাখিল শিক্ষার্থী

দোয়ারা বাজার উপজেলার মাদ্রাসা শিক্ষকের গাফিলতিতে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ১৩ দাখিল শিক্ষার্থী

amarsurma.com

সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের প্রতাবপুর সিদ্দিকীয়া আকবর (রাঃ) লতিফিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল মুকিত পীর ও কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতির কারনে এবার দাখিল পরীক্ষা দিতে পারছে না একটি মাদ্রাসার ১৩ জন ছাত্র-ছাত্রী। শিক্ষার্থীরা হলেন সানোয়ার মিয়া,রিয়াজ আহমদ, এহিয়া মিয়া, ফয়েজ আহমদ, লোকমান, কাজী সায়েম, সাজিরা বেগম,খাদিজা বেগম, সামিরা আক্তার, লিপি বেগম, পাপিয়া, সুলতানা আক্তার, মাহবুবা আক্তার।
পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে না পেরে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা এরমধ্যে প্রতিষ্টানের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এদিকে, গত ৪ দিন ধরে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল মুকিত পীর আত্নগােপনে রয়েছেন। পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পেয়ে সংশ্লি-ষ্ট মাদ্রাসা সুপারের বিরোদ্ধে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরীক্ষার্থীরা মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযােগ করেছেন। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসা সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির অযোগ্যতার কারণে এবারের দাখিল পরিক্ষা দিতে পারেনি শিক্ষার্থীরা
গত ৪ দিন ধরে মাদ্রাসা সুপার আত্মগােপনে রয়েছেন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। জানা যায়, ১৯৯৪ সালে দোহালিয়া ইউনিয়নে এলাকাবাসীর সার্বিক সহযােগিতায় মাদ্রাসাটি প্রতিষ্টা করা হয়। চলতি বছরে এই মাদ্রাসা থেকে ১৩জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করার কথা ছিল। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সময় মতাে প্রবেশপত্র দিতে না পারায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে না পেরে চরম হতাশায় পরেছেন। এদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী খাওয়া-ধাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পূরাে উপজেলা জুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালােচনা। মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযােগ, আমরা সময় মতো রেজিষ্টেশন ফি ফরম ফিলাবের ফি পরিশােধ করলেও আজ অবধি রেজিষ্টেশন ও ফরম ফিলাব হয়নি।
যার ধরুণ ১৩ শিক্ষার্থীর দাখিল পরিক্ষার এডমিট কার্ড না পাওয়ায় পরিক্ষায় অংশ নিতে পারিনি আমরা। আমরা সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির বিরোদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, ইতিমধ্যে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমানিত হলে আইনানোগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com